মোথাবাড়ি

ফের বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য বৈষ্ণবনগরে!

আবারও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বৈষ্ণবনগরের মির্জাচক ঘোষপাড়াতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত্রে জনৈক এক মহিলা বাথরুম যাওয়ার পথে পরিত্যক্ত অবস্থায় বাথরুম সংলগ্ন পাঁচিলের পাশে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশকে ঘটনাটি জানায় ওই মহিলার পরিবারের লোকজন। 

 

রাত্রে পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করলে জানা যায় ওই ব্যাগটিতে রয়েছে শক্তিশালী তাজা বোমা। ইতিমধ্যেই ঘটনার খবর জানাজানি হ‌ওয়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। 

 

স্থানীয়দের দাবি, যে জায়গায় বোমাগুলি রাখা আছে সেটা বাইরে থেকে কেউ এসে রেখে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। আর যার বাড়ির বাইরে বোমাগুলি রাখা আছে তারা অত্যন্ত নিরীহ পরিবার। এরা কোন‌ওদিন কোনোরূপ অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। ওই পরিবারকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে কেউ বা কারা পেছনে বিশাল জঙ্গল ও মাঠ থাকায় সেই সুবিধা নিয়ে ব্যাগসমেত বোমাগুলি রেখে গেছে।

 

ওই গ্রামের বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সূর্য মন্ডল জানান, কোন‌ও অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি এইভাবে বোমাগুলিকে রেখে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। পাশে মাঠ ও জঙ্গলের সুবিধা নিয়ে অন্ধকারে বোমাগুলি রেখে গেছে। এই বোমাগুলি ফেটে গিয়ে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। আমরা চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করে যারা এসব অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করুক।

 

অন্যদিকে, কালিয়াচক থানার অন্তর্গত গোলাপগঞ্জ ফা‍ঁড়ির পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আকন্দবাড়িয়া এলাকার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে আরও দুই ব্যাগ বোমা উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই সেখানেও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ঘটনার পরেই। 

 

পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, আমাদের বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রামনগর থেকে ৩৪টি বোমা উদ্ধার করেছি। ইতিমধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আকন্দবাড়িয়া ও বৈষ্ণবনগরের দুই জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি এবং শীঘ্রই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।